শোবিজ বাংলা ডেস্ক: আগামী ১৩ অক্টোবর শুত্রুবার ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ বায়োপিকটি সারাদেশে একযোগে ১৫৩ টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। আর ভারতে মুক্তি পাবে ২৭ অক্টোবর। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ এই ঘোষণা দেন। তিনি এ ছবির পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, ছবিটির ট্রেইলর দেখেই সিনেমা হল মালিকরা তাদের হলে ছবিটি চালাতে সাড়া দেন। জাতির পিতার বায়োপিকটি তারা সানন্দে চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। আশা করি ছবিটি বানিজ্যিক ভাবেও সফল হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন আরেফিন শুভ। খন্দকার মোস্তাকের চরিত্রের রূপদানকারী ফজলুর রহমান বাবু। শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে অভিনয় শিল্পী সুঅভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এবং ছোট রেনু চরিত্রের কুশীলব দীঘি।
ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন ভারতের বিখ্যাত চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। এটি একটি শ্যাম বেনেগাল চলচ্চিত্র।
সংবাদ সম্মেলন আরেফিন শুভ বলেন, ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার ‘ হচ্ছে একটি জাতির ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির কাছে একটি আবেগের চরিত্র। আমি কিশোর মুজিব থেকে ‘৭৫ সাল পর্যন্ত তাঁর চরিত্রে প্লে করেছি। এটি আমার একটি স্বপ্নের পূরণ। শুভ বলেন আমি মুজিব নয়। আমি তাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছি। বায়োপিকের সত্যিকারের চরিত্রে অভিনয় করা কঠিন কাজ। একজন অভিনেতা যখন সেই চরিত্রে অভিনয় করেন সেই সময় অনেক চাপ থাকে। তারপরও আমি পরিচালকের কথায় আমি চরিত্রটিতে আমার সাধ্যমত অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। যারা এটি দেখেছেন বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আমাকে বলেছেন আমি ভালোই নাকি করেছি৷
আরেফিন শুভ বলেন, মুজিব আমাদের একটি আবেগ ও একটি ভালোবাসার নাম। আপনারা হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন আমি কতটুকু করেছি।আমার আজ বড় আনন্দ আমি একটি ইতিহাসের অংশ হতে পড়েছি। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের কাছ থেকেও মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যা জেনেছি তা আমার জন্য অভিনয়ে সহায়ক হয়েছে। শুভ সকলকে হলে গিয়ে এই ইতিহাস ছবির অংশ হতে আহবান জানান
শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে অভিনয় শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আমি শেখ লুৎফুর রহমানের মধ্যবয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছি।আমি চেষ্টা করেছি আমার সাধ্যমতো । তবে আমি বলতে পারি শুভ অত্যন্ত ভালো অভিনয় করেছেন মুজিবের মূল চরিত্রে। আমি আজ ধন্য এই বায়োপিকে অভিনয় করে আমি ইতিহাসের অংশ হতে পেরে। আমার বিশ্বাস সকলে এই ছবিটি দেখে মুগ্ধ হবেন।
খন্দকার মোস্তাকের চরিত্রে অভিনয়কারী গুনী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, আমি এক খল নায়কের চরিত্র মোস্তাকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। সমাজে এখনও ছোট বড় ও মাঝারি ধরনের মোস্তাক রয়েছে। আসলে কোন বায়োপিকে অভিনয় করা কঠিন৷ মাথার ওপর অনেক চাপ থাকে। চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলার বিষয়টি থাকে। চাপ এমনিতেই বেড়ে যায়।
ছোট রেনুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়িকা দীঘি।দীঘি বলেন, আমি রেনুর ১৩- ১৭ বছর বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বড় রেনু চরিত্রে পরে অভিনয় করেন তিশা আপা। আমি আমার চরিত্রে মিশে যেতে চেয়েছি। পেরেছি কি না তা আপনারা দেখে জানালেই আমি বুঝতে পারব। আমি ও আমার বাবা সুব্রত এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য অডিশন দেই। আমি চান্জ পাই। বাবা পাননি। এরপরও বাবা খুশী। আমি রেনু চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি বলে। আসলে আমি ভারতে শুটিং করার সময় দেখেছি অভিনয় শিল্পীরা কি রকম পরিশ্রম করেছেন। যে যার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
এদিকে, জানা গেছে আগামী ১২ অক্টোবর ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাখালীস্থ এসকেএস সেন্টারের ষ্টার সিনেপ্লেক্সে প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০ টায়। এইদিনেই রাত ৭টায় আরেক প্রেস শো অনুষ্ঠিত হবে।