‘২০০০ শিশুর জন্য আকলিমার মানসিক স্বাস্থ্য অভিযান’

আকলিমা আতিকা কণিকা, পেশায় একজন সুপার মডেল, কাজ করেছেন দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সাথে। এছাড়া তিনি উপস্থাপিকা, সংগীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত। এতো পরিচয় থাকলেও আকলিমা ভালোবাসেন নিজেকে সমাজসেবী বলতে। তাই ২০১৫ সাল থেকে তিনি শিশু ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

আতিকা বলেন, “২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করে বাংলাদেশে। বাবা-মারাও অনেক সময় বুঝতে পারেন না – এক্ষেত্রে কী ধরনের সাহায্য তাদের প্রয়োজন, কখন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।”

আতিকা নিজেই মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি চাইল্ড ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করছেন এবং প্রতি বছর মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহে অংশ নেন। নিজের উদ্যোগে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিং গ্রুপ তৈরি করেন, যার মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি প্রায় ৫০০ জন মেয়েকে সাহায্য করেছেন।

আকলিমা ২০২৪ সাল থেকে আরও গোছানোভাবে কাজ করতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ভলান্টিয়ার গ্রুপগুলোর সাথে কাজ শুরু করেন। ২০২৪ সালে তিনি তিনটি উদ্যোগ সম্পন্ন করেন:

– একটি ওয়ার্কশপ পরিকল্পনা করেন পিতামাতাদের জন্য, যা তাদের শেখাবে কীভাবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

– একটি ওয়ার্কশপ পরিকল্পনা করেন ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য, যাতে তারা বুলিং, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়।

– তিনি এমবিএইচটি ভলান্টিয়ার নামক যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে মিলে তৈরি করেন পিতামাতাদের জন্য একটি কোর্স, যাতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক যাবতীয় বিষয় পিতামাতাদের শেখানো হবে।

আকলিমা ১২টি জেলায় প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সকল ওয়ার্কশপে এবং আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ২০০০ শিশু-কিশোরদের কাছে পৌঁছে দিতে চান সাহায্য।
আকলিমা বলেন, “জুলাই বিপ্লব আমাদের শিখিয়েছে তরুণ সমাজ কত কিছু করতে পারে! দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে দিতে আমাদের আগে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। আশা করছি সবাই মিলে আমরা এগিয়ে দিতে পারবো আবারো বাংলাদেশকে।”