শোবিজ বাংলা ডেস্ক : ’প্রিয় মালতী’ যাপিত জীবনের গল্প। সিনেমায় নিম্ন–মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমায় তার নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন–মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে নৌকাতে ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একটু ঘোরাঘুরি, মালতীকে অবাক করে দিয়ে পলাশের উপহার দেয়া, স্বামী–স্ত্রীর খুনসুটি– সবকিছুই চলছিল সুন্দর ছন্দে। হঠাৎই একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত সিনেমা প্রিয় মালতী মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকিতে। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্ল্যাটফর্মটি এ ঘোষণা দেয়। যেখানে জানানো হয়, ৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, রাত ৮টায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে চরকিতে।
’প্রিয় মালতী’ সিনেমার গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার শঙ্খ দাশগুপ্ত জানান, সিনেমায় মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় চরিত্রটিকে। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন পরিচালক।
সিনেমার গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। সত্য যেমন কঠিন, সিনেমার বিভিন্ন মুহূর্তও তেমন কঠিন ও সমস্যার। মালতীর সমস্যা–সংগ্রামগুলো শুধু তার একার না, এগুলো দেশর মানুষের সমস্যা–সংগ্রাম। মালতী চরিত্রটি একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর। বিশৃঙ্খল এই শহরে তার লড়াই করতে হয় শ্বশুরবাড়ি, সমাজ এবং ধর্মীয় রীতিনীতির বিরুদ্ধে। এর পাশপাশি আমি প্রশ্ন করতে চেয়েছি, একজন মানুষের অস্তিস্ব কি ডেথ সার্টিফিকেট ও ময়না–তদন্ত রিপোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে? সিনেমায় প্রসঙ্গগুলো আছে বলে জানান পরিচালক।